সন্ন্যাসীর দেশপ্রেম অদ্ভুত এক সন্ন্যাসী । জীবনের মূল সত্য জানার অভিপ্রায়ে সন্ন্যাস নিয়েও মুক্তির চিন্তা ছেড়েছেন গুরুর কথায়-গুরু বলেছিলেন তোকে হতে হবে বটগাছের মতো, যার ছায়ায় এসে লোকেরা আশ্রয় পাবে। সেই বেদবাক্য আশ্রয় করে গুরুর মহাপ্রয়াণের পর শুরু করলেন ভারতবর্ষ পরিক্রমা। ভারতবর্ষকে পরিপূর্ণ ভাবে চিনতে বুঝতে এই পরিক্রমার প্রয়োজন ছিল। প্রত্যক্ষীভূত অভিজ্ঞতা যে চেতনার উন্মেষ ঘটায় নিছক বই পড়ে বা শুনে সেই জায়গায় পৌঁছনো সম্ভব হয় না। ১৮৮৬ সালে ঠাকুরের মহাপ্রয়াণের পর কয়েকবার বেরোলেন তিনি।পাহাড় পর্বত, নদী, সমুদ্র বনরাজির অপূর্ব সৌন্দর্য দেখে ভারতের অঢেল সম্পদ সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা হলো। খনিজ সম্পদ ,বনজ সম্পদ,এর সঙ্গে রোদ,জল,বৃষ্টি নিয়ে প্রাকৃতিক সম্পদ, আধ্যাত্মিক সম্পদ সব মিলিয়ে ভারত এক ঐশ্বর্যশালী, বৈভবশালী দেশ।ভাবাবেশে রুদ্ধ হল আবেগ। স্থিত হয়ে বুঝে নিলেন , বিশ্লেষণ করলেন গভীরভাবে-উপায়? কি উপায়ে পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ ভারতবর্ষের হৃত গৌরব ফিরিয়ে আনা যায়? নিজের দেশের প্রতি বুক ভরা ভালোবাসা তাকে ভুলিয়ে দিল পরমার্থ সন্ধানের স্বার্থ চিন্তা। তখনো পর্যন্ত একজন নরেন্দ্রনা
Comments
Post a Comment