Swami Vivekananda - The Patriotic Monk by Malbika Chattopadhaya
সন্ন্যাসীর দেশপ্রেম
অদ্ভুত এক সন্ন্যাসী ।
জীবনের মূল সত্য জানার অভিপ্রায়ে সন্ন্যাস নিয়েও মুক্তির চিন্তা ছেড়েছেন গুরুর কথায়-গুরু বলেছিলেন তোকে হতে হবে বটগাছের মতো, যার ছায়ায় এসে লোকেরা আশ্রয় পাবে।
সেই বেদবাক্য আশ্রয় করে গুরুর মহাপ্রয়াণের পর শুরু করলেন ভারতবর্ষ পরিক্রমা।
ভারতবর্ষকে পরিপূর্ণ ভাবে চিনতে বুঝতে এই পরিক্রমার
প্রয়োজন ছিল। প্রত্যক্ষীভূত অভিজ্ঞতা যে চেতনার উন্মেষ ঘটায় নিছক বই পড়ে বা শুনে সেই জায়গায় পৌঁছনো সম্ভব হয় না।
১৮৮৬ সালে ঠাকুরের মহাপ্রয়াণের পর কয়েকবার বেরোলেন তিনি।পাহাড় পর্বত, নদী, সমুদ্র বনরাজির অপূর্ব সৌন্দর্য দেখে ভারতের অঢেল সম্পদ সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা হলো। খনিজ সম্পদ ,বনজ সম্পদ,এর সঙ্গে রোদ,জল,বৃষ্টি নিয়ে প্রাকৃতিক সম্পদ, আধ্যাত্মিক সম্পদ সব মিলিয়ে ভারত এক ঐশ্বর্যশালী, বৈভবশালী দেশ।ভাবাবেশে রুদ্ধ হল আবেগ। স্থিত হয়ে বুঝে নিলেন , বিশ্লেষণ করলেন গভীরভাবে-উপায়?
কি উপায়ে পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ ভারতবর্ষের হৃত গৌরব ফিরিয়ে আনা যায়?
নিজের দেশের প্রতি বুক ভরা ভালোবাসা তাকে ভুলিয়ে দিল পরমার্থ সন্ধানের স্বার্থ চিন্তা।
তখনো পর্যন্ত একজন নরেন্দ্রনাথের সন্ন্যাস গ্ৰহণ ও পরিব্রাজন যে কোন সন্ন্যাসীর নিত্যনৈমিত্তিকতার এক পর্ব।
ব্যতিক্রমী পর্যায়ের সূচনা ত়াঁর বিদেশ গমনের পর।
সংস্কারমুক্ত মন নিয়ে যাত্রা করলেন বিদেশ।
শিকাগো ধর্মমহাসম্মেলনে উপস্থিত নাকি এক সন্ন্যাসী।
আশ্চর্য।
যে সন্ন্যাসীর স্থান সবার আড়ালে, কখনো কখনো ভিক্ষাপাত্র হাতে সমাজের মাঝে দৈনন্দিনতায়, তিনি
নাকি বিশ্ব বিদ্বজন সভায় আসীন। অলংকৃত করছেন আসন। সেই সভায় তুলে ধরছেন স্বদেশের সত্য রূপ।বলিষ্ঠভাবে দৃপ্ত ভঙ্গীমায়।যোদ্ধার মতো।
ভাবা যায় একজন সন্ন্যাসীর এই কাজ?
কর্মযোগের প্রতীকী রূপ পরিগ্ৰহ করে কর্ম করে গেলেন শ্রীকৃষ্ণের বাণীতে উজ্জীবিত অর্জুনের মতো।জিতে নিলেন সকলের হৃদয়।
সার্বজনীনভাবে স্বাদেশিকতার বোধে উদ্দীপ্ত করলেন দেশবাসীকে। বিদেশী মননে এঁকে দিলেন অন্য ভারতবর্ষের ছবি। সভার মাঝে অতি উজ্জ্বল কমলা রঙের বস্ত্রাবৃত এক অগ্নিশিখার আবির্ভাবে
অন্য সব চরিত্র যেন পশ্চাদপট হয়ে উঠল।অভিনন্দন ও উচ্ছাসে মাতোয়ারা হল সবাই। রূপ পেল এক নতুন সত্তা।
স্বামী বিবেকানন্দ ,এক
দেশপ্রেমিক সন্ন্যাসী।
আজ স্বাধীনতার ৭০বর্ষে দেশপ্রেমিক এই সন্ন্যাসী র চরণে কোটি কোটি প্রণাম জানাই ভারতবাসীর স্বদেশভাবনায়,
জাতীয়তাবোধে প্রাণসঞ্চার করার জন্য।স্বাধীনতা আন্দোলনের বীজ বপন করার জন্য।
অঞ্জলি
এক দিব্য পুরুষ
অগ্নিশিখার মতো দীপ্যমান
হৃদয়বান ,বিবেকবান
ভারতভূমির প্রতীকসমান।
তেজোদ্দীপ্ত পুরুষ সিংহ
নিরহংকার নির্মোহ
শুধু প্রেমপূর্ণ অন্তর
অশ্রুজলের অনন্ত সাগর।
সন্ন্যাসী তিনি
স্ফুলিঙ্গের মতো তাঁর বাণী
উদ্দীপ্ত করে যুবকমনন
দিশা খুঁজে পায় মানবজীবন
এসো উদ্বুদ্ধ হই
তাঁর আহ্বানে
মানবপ্রেমে,
দেশপ্রেমে,
বিশ্বপ্রেমে,
হৃদয় যাক ভেসে
এসো, উদ্বুদ্ধ হই
তাঁর আহ্বানে।
অদ্ভুত এক সন্ন্যাসী ।
জীবনের মূল সত্য জানার অভিপ্রায়ে সন্ন্যাস নিয়েও মুক্তির চিন্তা ছেড়েছেন গুরুর কথায়-গুরু বলেছিলেন তোকে হতে হবে বটগাছের মতো, যার ছায়ায় এসে লোকেরা আশ্রয় পাবে।
সেই বেদবাক্য আশ্রয় করে গুরুর মহাপ্রয়াণের পর শুরু করলেন ভারতবর্ষ পরিক্রমা।
ভারতবর্ষকে পরিপূর্ণ ভাবে চিনতে বুঝতে এই পরিক্রমার
প্রয়োজন ছিল। প্রত্যক্ষীভূত অভিজ্ঞতা যে চেতনার উন্মেষ ঘটায় নিছক বই পড়ে বা শুনে সেই জায়গায় পৌঁছনো সম্ভব হয় না।
১৮৮৬ সালে ঠাকুরের মহাপ্রয়াণের পর কয়েকবার বেরোলেন তিনি।পাহাড় পর্বত, নদী, সমুদ্র বনরাজির অপূর্ব সৌন্দর্য দেখে ভারতের অঢেল সম্পদ সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা হলো। খনিজ সম্পদ ,বনজ সম্পদ,এর সঙ্গে রোদ,জল,বৃষ্টি নিয়ে প্রাকৃতিক সম্পদ, আধ্যাত্মিক সম্পদ সব মিলিয়ে ভারত এক ঐশ্বর্যশালী, বৈভবশালী দেশ।ভাবাবেশে রুদ্ধ হল আবেগ। স্থিত হয়ে বুঝে নিলেন , বিশ্লেষণ করলেন গভীরভাবে-উপায়?
কি উপায়ে পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ ভারতবর্ষের হৃত গৌরব ফিরিয়ে আনা যায়?
নিজের দেশের প্রতি বুক ভরা ভালোবাসা তাকে ভুলিয়ে দিল পরমার্থ সন্ধানের স্বার্থ চিন্তা।
তখনো পর্যন্ত একজন নরেন্দ্রনাথের সন্ন্যাস গ্ৰহণ ও পরিব্রাজন যে কোন সন্ন্যাসীর নিত্যনৈমিত্তিকতার এক পর্ব।
ব্যতিক্রমী পর্যায়ের সূচনা ত়াঁর বিদেশ গমনের পর।
সংস্কারমুক্ত মন নিয়ে যাত্রা করলেন বিদেশ।
শিকাগো ধর্মমহাসম্মেলনে উপস্থিত নাকি এক সন্ন্যাসী।
আশ্চর্য।
যে সন্ন্যাসীর স্থান সবার আড়ালে, কখনো কখনো ভিক্ষাপাত্র হাতে সমাজের মাঝে দৈনন্দিনতায়, তিনি
নাকি বিশ্ব বিদ্বজন সভায় আসীন। অলংকৃত করছেন আসন। সেই সভায় তুলে ধরছেন স্বদেশের সত্য রূপ।বলিষ্ঠভাবে দৃপ্ত ভঙ্গীমায়।যোদ্ধার মতো।
ভাবা যায় একজন সন্ন্যাসীর এই কাজ?
কর্মযোগের প্রতীকী রূপ পরিগ্ৰহ করে কর্ম করে গেলেন শ্রীকৃষ্ণের বাণীতে উজ্জীবিত অর্জুনের মতো।জিতে নিলেন সকলের হৃদয়।
সার্বজনীনভাবে স্বাদেশিকতার বোধে উদ্দীপ্ত করলেন দেশবাসীকে। বিদেশী মননে এঁকে দিলেন অন্য ভারতবর্ষের ছবি। সভার মাঝে অতি উজ্জ্বল কমলা রঙের বস্ত্রাবৃত এক অগ্নিশিখার আবির্ভাবে
অন্য সব চরিত্র যেন পশ্চাদপট হয়ে উঠল।অভিনন্দন ও উচ্ছাসে মাতোয়ারা হল সবাই। রূপ পেল এক নতুন সত্তা।
স্বামী বিবেকানন্দ ,এক
দেশপ্রেমিক সন্ন্যাসী।
আজ স্বাধীনতার ৭০বর্ষে দেশপ্রেমিক এই সন্ন্যাসী র চরণে কোটি কোটি প্রণাম জানাই ভারতবাসীর স্বদেশভাবনায়,
জাতীয়তাবোধে প্রাণসঞ্চার করার জন্য।স্বাধীনতা আন্দোলনের বীজ বপন করার জন্য।
অঞ্জলি
এক দিব্য পুরুষ
অগ্নিশিখার মতো দীপ্যমান
হৃদয়বান ,বিবেকবান
ভারতভূমির প্রতীকসমান।
তেজোদ্দীপ্ত পুরুষ সিংহ
নিরহংকার নির্মোহ
শুধু প্রেমপূর্ণ অন্তর
অশ্রুজলের অনন্ত সাগর।
সন্ন্যাসী তিনি
স্ফুলিঙ্গের মতো তাঁর বাণী
উদ্দীপ্ত করে যুবকমনন
দিশা খুঁজে পায় মানবজীবন
এসো উদ্বুদ্ধ হই
তাঁর আহ্বানে
মানবপ্রেমে,
দেশপ্রেমে,
বিশ্বপ্রেমে,
হৃদয় যাক ভেসে
এসো, উদ্বুদ্ধ হই
তাঁর আহ্বানে।
-মালবিকা চট্টোপাধ্যায়
Comments
Post a Comment